ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করছে না বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তবে বাস্তবে রাশিয়ার সেই দাবির কোনো সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে শনিবার কিয়েভের একটি বহুতল ভবনের একটি অংশ রুশ মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা ‘নির্দিষ্ট করা হচ্ছে’ এবং আক্রান্তদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে দেশটির জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে।
জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের একটি ছবি পোস্ট করেছে। ছবিতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবনটির অন্তত পাঁচটি ফ্লোর জুড়ে একটি বিশাল গর্ত সৃষ্টি রয়েছে। নিচের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভবনের ধ্বংসস্তূপ।
ভবনটিতে মিসাইল আঘাত হেনেছে বলে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো অনলাইনে লিখেছেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, রাশিয়ার ‘নাকশকতা দলের’ সঙ্গে কিয়েভবাসীর ‘কঠিন’ রাত পার করতে হয়েছে।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কিয়েভে কোনো নিয়মিত রাশিয়ান সেনা ছিল না। তবে তারা বিভিন্ন দিক থেকে কিয়েভের প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন ভিটালি ক্লিটসকো।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের একটি ছবি টুইট করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, আমাদের চমৎকার, শান্তিপূর্ণ শহর কিয়েভ রাশিয়ার স্থল বাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের মধ্যে আরেকটি রাতে পার করল। সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি কিয়েভের এক আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে আঘাত করেছে।
এ সময় তিনি ‘রাশিয়াকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার, (একটি) তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং দেশটির অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, ইউক্রেন অভিযানের তৃতীয় দিন শনিবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা আকাশ ও সমুদ্র থেকে ছোড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামোর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।